স্যার আমরা কি ধুঁকে ধুঁকে শেষ হয়ে যাবো? এক অসহায় মেধাবী তরুনের করুণ আর্জি…

 

স্যার   আমার  নাম  সম্রাট  বিশ্বাস
ফুলতলা,খুলনা ।

লেখা পড়া জানা এক শিক্ষিত তরুনের করুন আর্তি, আমি তাঁর লেখাটিকে সবার জন্য রাখলাম, যদিও তাঁর কাছে আর থেকে আরও করুন ইতিহাস আমি শুনেছি। স্যার  আমরা  খুবই   গরিব  মানুষ ।   আমরা  ৭ ভাই  বোন,  ৬ বোন  আর  আমি  ১ ভাই ।   আমার  বাবা  একজন  কৃষক ।   বাবা  দির্ঘদিন  টিবিরোগে  ভুগেছেন  ।   এখন  বাবা  বেশী   পরিছ্রম  এর  কাজ  করতে  পারেননা ।   পরিবার  বড়ো  আর  ইনকাম  কম  হওয়ার  কারনে  আমরা  কোনো  ভাই  বোন  বেশী  লেখাপড়া  করতে  পারিনি ।   আমি  অল্প   বয়স  থেকে  কাজ করা  শুরু করি ।   কিন্তু  আমি  মাইনোরিটি  পরিবারের  ছেলে  হওয়ার  কারনে  কোথাও   সঠিকভাবে  কাজ  পেতাম না ।  এইভাবে  ২-৩  বছর  এর  মতো  চল ।  স্যার  আমরা  সব  সময়  খুধার্ত  থাকতাম,  পেট ভরে  কখনো  খেতে  পারিনি,   আবার  কাজে গেলে  সবার  থেকে  বেশী  খাটায়  আর  সবার  থেকে  ২০টাকা  কম দেয় ।  এভাবে   আর  না পেরে  আমি  ইন্ডিয়াতে  চলে  যাই ।   সেখানেও  কঠোর  পরিশ্রম  করে  খেয়ে  পরে  বেঁচে  ছিলাম এবং আমার   বাবা  মা সংসার চালানোর জন্য  অনেক  আগে  থেকে  গরু  পালতেন।

সেইভাবে  আমার  একটা  স্বপ্ন   ছিলো  আমি  একদিন  গরুর  খামার  করবো  ।   একদিন  আমার  রাজ  মিস্ত্রী   কাকু   আমাকে  বল্লেন  মিস্ত্রী  কাজকরে  কখনোই  গরুর  খামার  করা  সম্ভব  নয় ।  এটা  করার  জন্য  অনেক   টাকা  প্রয়োজন ।

আমি  তখন  বাড়িতে  চলে আসি  আর  বাবার  জমি  বিক্রী  করে  এবং  ব্যাংক থেকে  লোন তুলে  একটি গরুর  খামার  করি  খামারে  ১২টি  গরু  ছিলো ।   একদিন   আমার  বড়ো  এড়ে  গরুটার  জাবর  বন্দো  হয়ে গেলো,  আমি  চিন্তা  করলাম  অনেক   টাকা দিয়ে    ব্যবসা  সুরু  করেছি  বার  বার  এই  ভাবে  জাবর  বন্দো হয়  কিসের  জন্য,  একবার  সরকারি  পশু  হাসপাতালের  বড়ো  ডাক্তারকে  দেখাই  তার  সাথে  পরামর্শ  করি ।   আমি  হাসপাতালে  যাই  কিন্তু  ডাক্তারকে   পাইনি  তার  কম পাওন্ডার  এর  সাথে  দেখা হোলো,   আমি  জিঙ্গেস  করলাম  ডাক্তার  সাহেব  কোথায়  ?   সে  বল্লো  কি দরকার ?   আমি  বল্লাম  আমার  একটা  বড়ো  এড়ে  গরুর  জাবর  বন্ধো হয়ে  গেছে   মাঝে  মাঝে  এই  রকম  হয় ।  সে  বল্লেন  বড়ো  ডাক্তারকে  নিতেহলে  ৫০০/= টাকা ফ্রি  দিতে  হবে,  ঔষধ  লিখে দেবে  আর  এটাতো  সামান্য  জাবর  বন্ধো  হওয়া  তবে  আমিও  ঠিক  করে দিতে   পারবো  তয়  আমাকে  নিলে  ৩০০/= টাকা  ফ্রি  দিতে  হবে ।

আমি  বল্লাম  আমি  বড়ো  ডাক্তারকে  নেবো  কিন্তু  ৫০০/= টাকা  অনেক  বেশি  হয়ে  যায়  আমরা  গরিব  মানুষ  সবে  মাত্র  খামারটি  করেছি  এখনও  কোনো  লাভ  হয়নি ।  কিছু  কম  দেবো । কমপাওন্ডার   বল্লেন  ১ টাকাও  কম দিলে  বড়ো  ডাক্তার  যাবে না ।  আমি  বল্লাম,  আপনি  ডাক্তারের  নাম্বারটি  দেন ।  তিনি  বল্লেন,  সময়  নেই  আমি  এখন  ব্যস্ত  আছি  ।   আমি  তখন  UNO ( বিলকিস  আক্তার  বানু )  ম্যডামকে  বিষয়টি  জানাই ।   তিনি  ডাক্তারের  উপর  খুব  রেগে যান ,   আর  তখনই  ডাক্তারকে  ফোন করে  জিঙ্গেস  করলেন,  আপনি  পশু  চিকিৎসা  করতে টাকা  চেয়েছেন  ক্যনো ?   সরকার  আপনাকে  বেতন  দেননা !

তখন  ডাক্তার  বল্লেন  স্যার  আমি  টাকা  চাইনি  আমার  কমপাওন্ডার  চেয়েছিলো ।   আমরা  কারো  কাছ থেকে  ফিস  নিই না ।   তখন  UNO ম্যডাম   তাকে  বল্লেন  ছেলেটাকে  পাঠিয়ে   দিচ্ছি   ওর  গরুর  চিকিৎসা  করে  আসবেন ।   UNO ( বিলকিস  আক্তার  বানু )  ম্যডাম  আমাকে  ডাক্তারের  কাছে  পাঠিয়ে দেন ।  আমি  যখন   ডাক্তার  এর  কাছে  গেলাম  তখন  বাড়ি থেকে  আমার  মা  আমাকে  ফোন করে  বল্লেন  বাবা  গরুটা  ঠিক  হয়ে গেছে   এখন  আর  ডাক্তার  আনতে  হবে না ।    আমি  তখন  ডাক্তারকে  বল্লাম  স্যার  গরুটা  ঠিক  হয়েগেছে   আজকে  আপনাকে  জেতে  হবে না ।   অন্য  কোনোদিন  সমস্যা  হলে  সেদিন  যাবেন।  তারপর  আমি  ঐ  পথে  ন্যাড়া  এবং বিছলি  কিনতে  চলেগেলাম।

তার  ১সপ্তাহ  পর  UNO ম্যাডাম  বদলি  হয়ে  গেলেন।   তারপর  আমার  গরুটার  খুব  জর  হয়েছে  খাওয়া  দাওয়া  করছে না,  আমি  ডাক্তারকে  ফোন করলে  তিনি  রিসিভ  করেন না  অনেক  বার  ফোন করার  পর  রিসিভ   করে  বল্লেন   উপজেলায়  আমার  মিটিং  আছে,   আমি  আসতে  পারবো না ।   বল্লাম  স্যার   বিকালে  আসেন,  তিনি  বল্লেন   বিকালেও  আমার  সময়  হবে না,  তখন  বল্লাম  স্যার  তাহলে  কালকে  আসেন  তিনি   বল্লেন  কালকে  শুক্রবার  পরেরদিন   শনিবার  ২দিন  সরকারি  ছুটি  আসতে  পারবো না ।

তখন  আমি  ঐ  হাসপাতালের  আরেক  জন  কর্মচারী  কালিপদ দা  তাকে  দিয়ে  আমি  গরুটির  চিকিৎসা  করিয়েছি ।   কিন্তু  এইরকম  সমস্যা   বারে বারে  হওয়ার  কারনে  আমি  চিন্তা  করলাম,  বড়ো  ডাক্তারের  কাছ থেকে   একবার  পরামর্শ   নিয়ে নিই   তা না হলে   যদি  আমার  গরুর  কোনো  ক্ষতি  হয়ে যায়   তাহলে   আমার  অনেক  টাকা  লস  হয়ে যাবে ।   সেই  জন্য   তার  পরেরদিন   ডাক্তারকে  ডাকি   ডাক্তার   বল্লেন  আমি  আসতে  পারবোনা  উপজেলায়  আমার  মিটিং   আছে  আমি  বল্লাম  স্যার  আপনাকে  যখনই  ডাকি  তখনই  আপনি  মিটিং  এর  কথা  বলেন,  তখন  ডাক্তার  বল্লেন  মাসে  ৩০দিনে  আমার  ২৮দিন  মিটিং  থাকে ।

আমি  বল্লাম  স্যার  আজকে  একটু  আসেন  তিনি  বল্লেন  সোময়  পেলে  আসবো ।   তারপর  বিকালে  04:30 pm  তখন  ডাক্তার  আর  সেই  কম পাওন্ডার  যে  ৫০০/=  টাকা  ফ্রি  দিতে  বলেছিলেন   ডাক্তারকে ।   তারা   দুজনে  মটর গাড়িতে   আসলেন ।  আমার  যে  গরুটার  সমস্যা  তাকে  দুর থেকে  দেখলেন,  আমি  বল্লাম  স্যার  গরুটার  জর  আছে   একটু  মেপে  দেখুন  ।   তিনি  বল্লেন  জর নেই   মাপা  লাগবে  না ।   তাকে  ছুয়েও  দেখলেন না ।  আবার  অন্য  গরু  গুলোকে  টিপে  টিপে  দেখে  বলছেন  এই  গরুটা   ভালো  জাতের ।   তার পরে   চিয়ারে  বসে  বলছেন  গরুটির  কি কি  সমস্যা  ?    আমি  সমস্যা গুলো  বল্লাম,   ডাক্তার  আমাকে  ২টো  ইনজেকশন  ১টি  ভিটামিন  সিরাপ    আর  গোয়াল  পরিস্কার   করার  জন্য  চুন  পটাস   লিখে দিয়ে,  ডাক্তার  আমাকে   বল্লেন   ৫০০/= টাকা  দেও  তাড়াতাড়ি ।   আমি  বল্লাম  স্যার  ইনজেকশনটি  কিভাবে  কোথায়  লাগাবো ?   ডাক্তার  আমাকে  তাড়া দিয়ে  বল্লেন   তুমি কি  মূর্খ ?  কোনো দিন  পড়াশুনা  করনি ?   ওখানে  সবকিছু  লিখে দিয়েছি   বুঝতে  না  পারলে  যেখান থেকে  ঔষধ   কিনবে  সেখান থেকে  শুনে নিও ।

 

তাড়াতাড়ি  টাকাটা  দেও ।   আমি  অনেক  অনুরোধ  করে  বল্লাম   স্যার  কিছু  করেন,  আমরা   অনেক  গরিব   মানুষ  সবে  মাত্র  খামার  করেছি  এখনও  কিছুই  লাভ  হয়নি ।   ডাক্তার  আমাকে  বলছেন  এতো  বড়ো  খামার  যার  সে  এই  কথা  বল্লে   হয় ?   তারপরে  তার  কম পাওন্ডার   ডাক্তারকে   বল্লেন  স্যার  ৩০০/= টাকা  নেন ।   ডাক্তার  বল্লেন   তাহলে  ৩০০/= টাকাই  দেও ।   তখন  আমার  কাছে  ৩০০/= টাকাই  ছিলো,   আমি  বাজার  করার  জন্য  ১০০/= টাকা  রেখে দিয়ে  আর  ২০০/= টাকা  ডাক্তারকে  দিয়ে  বল্লাম  স্যার  আর  ১০০/= টাকা  আগামি  কালকে  আপনার  অফিসে  যখন  নেপিয়ার  ঘাসের  কাটিং   আনতে  যাবো   তখন   দিয়ে  আসবো ।   ডাক্তার  বল্লেন  ভুল  হয় না  জেনো ।

আমার  তখন  ১২ টা  গরু,১২ টা  গরুর  খড়কাটা,   ঘাসকাটা,   সিনান  করানো,  গবর  পরিস্কার  করা,  খেতে দেয়া,  সবকিছু  মিলিয়ে  পরেরদিন   আমি  হাসপাতালে  যেতে  পারিনি ।  ঐদিন   বেশি  বেশি  করে  খড়, ঘাস,  কেটে  রেখেছি  যাতে  পরের  দিন  যেতেপারি ।
তার  পরেরদিন  আমি  যাবো  বলে  কাপড়  পরে  তৈরি  হয়েগ্যাছি  তখনই  আমার  বড়ো  এড়ে  গরুটার  জাবর  বন্দো হয়ে  গেছে  আর  খুবই  পেট  ফুলে  উঠেছে ,   আমি  ভয় পেয়ে   গেলাম ।   ডাক্তারকে   ফোন  করছি  কিন্তু  রিসিভ  করছেন না ।  পরে  ঐ সেই  অফিস  সহকারী   কালিপদ দাকে  কে  ফোন করি  তিনি  রিসিভ  করে  বল্লেন  তোরা  বড়  ডাক্তারকে  চিকিৎসা  করতে  নিয়ে  টাকা  বাকি  রেখেছিস  কালকে  দেবার  কথা,  কালকে  দিস নি  আমরা  তোদের  গরুর  চিকিৎসা  করবো না  বস  মানা  করেছে ।   আমার  মা  বল্লেন  দাদা  তাহলে কি  চিকিৎসার   অভাবে  আমাদের  গরুটা  মারা  যাবে ?   কালিপদ দা  বল্লেন   আমার  কিছুই  করার  নেই ।  তারপর  আমি  কালিপদ দার  কথাগুলো   রেকর্ড  করার  জন্য  আমি  আবারও  ফোনকরি  আর  রেকর্ড   করি ।   তারপর  DC  স্যারকে  ফোনকরি  সবকিছু   জানাই   DC  স্যার  আমাকে  বল্লেন  আগে  গরুটাকে  বাচাও  তারপরে  কথা  বোলো  ।  আমি   UNO কে  বলে দিচ্ছি  ডাক্তার  পাঠাতে,  আপনি  UNO এর  সাথে  যোগাযোগ  করেন ।
তখন  এসিল্যান্ড  ম্যাডাম  ভারপ্রাপ্ত  UNO  ছিলেন  ।   DC-   স্যার   তাকে   বলেদিলেন   ডাক্তারকে   তাড়াতাড়ি   পাঠিয়েদিতে  ।   তার  ৩-৪ মিনিট  পরে   UNO-  আমাকে  ফোন  করে  বল্লেন  আপনাদের   বাড়ির  ঠিকানাটা  দিন  ডাক্তার  যাবে ।  আমি  বল্লাম  ম্যাডাম  ডাক্তার  আমার  বাড়িটা  চেনে,  একবার  এসে  ছিলেন ।  তিনি  বল্লেন  ঠিকআছে   ডাক্তারকে   এখনই  পাঠিয়ে  দিচ্ছি ।
তারপর  ৩০ মিনিট  হয়েগেল   ডাক্তার  এলোনা ।  আমি  আবারও   UNO- কে  ফোনকরে  বল্লাম  ম্যাডাম  ডাক্তার  এখনো  আসেনি,  ম্যাডাম  বল্লেন  আমিতো  অনেক  আগেই  পাঠিয়ে  দিয়েছি ।   আপনি  ডাক্তারকে   ফোনকরে  জিঙ্গেস   করুন  উনি  কোথায় ।   আমি  তখন  ডাক্তারকে   ফোন  করি ।   বল্লাম   ডাক্তার  সাহেব  আপনি  কোথায় ?   ডাক্তার  বল্লেন  আমি  অফিসে ।   আমি  বল্লাম  আপনি  একটু  তাড়াতাড়ি  আসুন  আমার  গরুটার  জাবর  বন্দো  হয়েগেছে   আর  পেট  ফুলেগেছে   সুধু  গরুটা  সুচ্ছে  আর  উঠছে  ।   ডাক্তার  বল্লেন ,   তা  আমি  কোথায়  জাবো !  আমি  বল্লাম   আপনাকে  কেউ  কিছু  বলিনি ?   ডাক্তার  বল্লেন   নাতো   আমিতো  কিছুই   জানিনা   কেউ  আমাকে   কিছু   বলিনি ।   আমি  তখন  বল্লাম  UNO-  ম্যাডাম  আপনাকে  কিছু  বলিনি ?   ডাক্তার  বল্লেন   নাতো,   কিছু  বলিনি !      আমি  বল্লাম  ঠিকআছে  পরে   ফোন  করছি  ।  এইবলে  যখনই  ফোনটি  কেটেদিবো  তখনই   ডাক্তার  আমাকে  বিশ্রী   ভাষায়  বল্লেন  মাদার  চোদের  বাচ্চা   ডাক্তারের   বিরুদ্ধে   UNO-  কে  নালিশ   করিস   আবার  ডাক্তার  বাড়িতে  গেলে  টাকা  বাকি  রাখিস,  গরুর  চিকিৎসা  করে  দেখ  কি রকম  লাগে ।

তারপরে  লাইন  কেটে  গেলো  আমি   তখনই   UNO-  কে  ফোনকরে  বল্লাম ,  ম্যাডাম  ডাক্তার  অফিসে     চেয়ারে  বোসে   দোলখাচ্ছে   আর  আমাকে  গালিগালাজ   করেছে ,  উনি  আমার  গরুর  চিকিৎসা  করতে  আসছে  না  ।   আর  এলাকার  সবাইকে  মানা  করেছে  কেউ  য্যানো  আমার  গরুর  চিকিৎসা  না  করে ।   এসি ল্যান্ড  ভারপ্রাপ্ত  UNO-  ম্যাডাম  আমাকে  বল্লেন   তাহলে  আপনাদের  সংঙ্গে  পুরোনো  রাগারাগি  থাকতে  পারে,   আমি  কিছু  করতে  পারবোনা , DC-  স্যার  আমাকে  ডাক্তারকে  যেতে  বলতে  বলেছিলো  আমি  ডাক্তারকে   যেতে  বলেছি ।   এখন  ডাক্তার  গেলো কিনা  তা  আমি  দেখতে  পারবো না ।  তারপর   আমি  আমার  মাকে  বল্লাম  মা  জোর করে  ডাক্তারকে  এনে  আমরা  কখনোই  ভালো  চিকিৎসা  পাবো না   আর  ডাক্তারও  আসবে না,   এই   করতে   করতে  যদি  গরুটা  মারা   যায়   তালি  পুরো  টাকা  লস  হয়ে   যাবেনে  ।   তারথেকে  গরুটাকে  বিক্রী   করেদি  তালিও  কিছু  টাকা  পাবানি ।   মা  বল্লো   তাই  কর,   বেচেদে ।    আর  তখন  কসাই  ডেকে  ৮০ হাজার  টাকা  দামের  গরুটাকে  আমি  একদামে   ৪৫ হাজার  টাকায়  বিক্রী  করে দিতে  বাধ্য   হই ।

তখন  থেকে  আজ  এখন  পর্যন্ত  আমি   ডাক্তার  দের  সেবা থেকে   বঞ্চিত ।

আমার  ১২টা  গরু  থেকে  এখন  ৪টে  গরু  আছে ।এই  ডাক্তার   ইচ্ছাকৃতো   ভাবে  আমার  ক্ষতি  করেছে ।
নিজে  চিকিৎসা  করেনি  আর  নিজের  সবার্থের  কারনে   অন্যদের  করতেও   দেননি ।    আমি  ইহার  বিচারের  জন্য   DC- কে  জানাই  তিনি  আমাকে  বল্লেন  UNO- কে  দরখাস্তর   মাধ্যমে  জানাতে ।   আমি  তাই  করি  কিন্তু  তবুও  কোনো  বিচার  হয়না ।   আমি   আবারও  DC-  স্যার  কে  জানাই   তখন  স্যার   আমাকে  বল্লেন   আপনি  DC- বরাবর   দরখাস্ত  করেন ।   আমি   DC-  স্যার  বরাবর   দরখাস্ত   করি

আমি  উপস্থিত  হলাম,  ডাক্তারও   উপস্থিত  হলো ।   শুনানীর  সময়  ইউ,এন,ও   আমাকে  রেখে  সবাইকে  বের  করেদিলেন ।   আমার  ফোনটা  নিয়ে  সুইচ   অফ   করে  দিলেন ।   আমার  সব  কথা  শুনলেন   আর  লিখলেন   তারপরে  আমার  সাক্ষর  নিলেন   ।    এবার  আমাকে  বের  করেদিয়ে  ডাক্তারকে  ভিতরে  ঢুকালেন ,   তখন  কি হয়েছিলো  তা  যানিনা ।   তারপরে  দুজনকে   এক  সংঙ্গে   ভিতরে  ডাকলেন ,,   ইউ, এন,ও  প্রমান  চাইলেন  আমি  সব  প্রমান  দিলাম ।  ডাক্তার  প্রমান  দিতে  ব্যর্থ  হলেন ।

কল   রেকর্ড  এ   ডাক্তার  ধরা  পড়েগেলেন,   তখন  ইউ,এন,ও   আমাকে  বেশী  কথা  বলে,    বল্লেন   আপনি  জানেন  কল  রেকর্ড  করা  একটা  অপরাধ ?   আমি  বল্লাম   জানতাম না  আপনার  কাছ থেকে  জানলাম ।   ইউ,এন,ও  আমাকে  ও  বাদ বাকি  দের  বল্লেন,   আপনারা   সবাই  এখন  যেতেপা রেন ।   আমি   বল্লাম   ম্যাডাম   শুনানীর  ফলাফলটা  কখন   শুনাবেন  ?   ম্যাডাম   বল্লেন   কয়  এক  দিন  পর  জানতে  পারবেন  ।   বাড়িতে  এসে  শুনি  অপরিচিত  কেউ  আমায়  খুজতে  এসেছিলো ।   তারপর  ১মাস  হয়েগেল,   একদিন  আমি  ফোন   করলাম   UNO- কে  জিঙ্গেস  করলাম   ফলাফলটা  কবে  দেবেন  তিনি  বল্লেন  আমার  বাবা  অসুস্থ   পরে  বলবো ।  আরাক  মাসের  কাছে  আমি  আবারও  ফোন  করলাম  যখনই  জিঙ্গেস   করলাম  ম্যাডাম  বল্লেন  বিয়াদব  ছেলে  আমি  ওটা  উপরে  পাঠিয়েছি,   যেদিন  ওরা  জানাবে  সেইদিন  আমি  আপনাকে  জানাবো ।    তারপরে  আমি  আর  কোনোদিন   ইউ,এন,ও  কে  ফোন  করিনি ।   আমি  উপজেলার  চেয়ারম্যান   আকরাম  কাকুকে  জানাই,   তিনি  শুনেও  নাশুনার  মতন  চলেগেলেন ।   আমি  আর  কখনো  চেয়ারম্যান  এর  কাছে  জাইনি ।
এবার  মানোবাধিকার  চেয়ারম্যান,    এদেরকে  দরখাস্ত  লিখি ।   একদিন  সচিবালয়  থেকে  আমাকে  ফোন  করে  বল্লেন   আমরা  ওমুক  দিন  আপনাদের  ওখানে  তদন্তে  আসবো,  আর  আমরা  না  আসতে  পারলে  আমাদের  খুলনা  ( ডিএলও )   অফিস  থেকে  তদন্তে  যাবে ।   ৫টার  দিকে   খুলনা   ডিএলও  অফিস  থেকে  আমাকে  ফোন করে  বল্লেন   আগামি  কাল  আমরা  ফুলতলা- পশু  হাসপাতালে  আসবো  তদন্ত  করার  জন্য  । আপনি  মানোসিক  ভাবে  তৈরি   থাকবেন   এবং  সকাল  ১১টার  দিকে  আপনারা  সবাই  উপস্থিত  থাকবেন ।   আমি   ঐ  দিন  ৫০-৬০  জন  মহিলা  নিয়ে  উপস্থিত  হয়েছি ।

১২ টা  বেজেগেলো  কিন্তু  তদন্তে  কেউ  এলেন না,  তখন  আমি  ফোনকরে  জিঙ্গেস   করলাম  স্যার  আপনারা  কোথায় ?  তিনি  বল্লেন   আজকে  আমরা  আসতে  পারবো না ।  সামনের  সপ্তাহে   আসবো ।  DLO-এদিন  আমাকে  বল্লেন  মন্ত্রী  পাঠিয়েছে   বলে  আমাকে  আসতে  হলো ,   তারপরে   অনেক  কথা  বলার  পর  উনি  নিজেই  বল্লেন   মুদির  দোকানে  কি  কাপড়  পাওয়া   যায়  ?   আমি  বল্লাম   পাওয়া   যায় না । DLO- বল্লেন   তাহলে  আমার  ডাক্তার  কিছু  করলে  আপনি   আমাকে  বলবেন,    তা না  বলে  আপনি বলেছেন  DC- কে  UNO- কে  যখনই  আপনি  DC- কে  UNO- কে  বলেছেন  তখনই   আমাদের  সব  ডাক্তাররা  আপনার  উপর  ক্ষেপে  গেছে  তাই  আপনি  চিকিৎসা  পাচ্ছেন না ।

(স্যার  DLO এর  এই  সব  কথা  আমি  ভিডিও  রেকর্ড  করে  রেখেছি ।  পুরো  ভিডিওটি  যদি  আপনি  কষ্টকরে  দেখতেন  আর  প্রতিটা  কথা  যদি  আপনি  শুনতেন  তাহলে   আরো  অনেক   কিছু   বুঝতে  পারবেন)

একদিন  আমি  কাজ থেকে  বাড়ি  ফিরছি   তখন  ঐ   হাসপাতালের   একটা  লোক  আমাকে  বল্লেন,  একটা  প্রকল্প  থেকে  অনেক  গুলো  টাকা  পাস  হয়েছে   সাধারন   মানুসের   জন্য  যারা  হাস,  মুরগী,  গরু, ছাগল, ভ্যাড়া  পোসে   সুধুমাত্র   তাদের  জন্য আরও বলেন   এভাবে   সম্রাট   যদি  সব  জায়গায়   জানায়   তাহলে  আমার   ক্ষতি হয়ে  যাবেনে ।  তখন  নেতারা   ডাক্তারকে   বল্লেন   সম্রাটকে   নিয়ে   আপনি   চিন্তা   করবেন না   ওকে  আমরা  বলে দেবো ।

সেই  দিন  রাত্রে  আমার  গ্রামের  এক  কাকাকে  সব  নেতারা  বলেছে  সম্রাট  কে   বলে দিও  ডাক্তারের  বিষয়টি  নিয়ে  আর  যেনো  দৌড়া  দৌড়ি  না করে ।   আমি  ঐ  কাকার  কথাগুলো   ভিডিও   রেকর্ড  করে  রেখেছি ।   আপনাদেরকে  ভিডিওটি  দিবো  কষ্টোকরে  একটু  দেখবেন ।    আর  এখন  ১মাস  আগে  আমি  ঢাকায়  গিয়েছিলাম  মহাসড়ক  ও  সেতু  মন্ত্রী  জনাব  ওবায়দুলকাদের  স্যারের  সাথে  দেখা  করতে তারপর  সবার  সামনে  চেয়ারম্যানকে   ফোন করে  বলেদিলেন ।কাদের  স্যার  আমাকে  বল্লেন  তুমি  এক্ষনি  গিয়ে  চেয়ারম্যান  এর  সাথে   দেখা করো ।

আমি  বাড়িতে  এসে  চেয়ারম্যান  এর  সংঙ্গে   দেখা  করলাম ।   চেয়ারম্যান   কিছুটা   শুনে  ডাক্তারকে  ফোন  করলেন  আর  জিঙ্গেস   করলেন  আপনার  সংঙ্গে  সম্রাটের  কোনো  ঝামেলা  হয়েছে ? আমি বললাম, কি ঝামেলা-আমিতো চিৎকিসা চাই,   আমি  জিঙ্গেস  করলাম  চেয়ারম্যান  কাকু   আমি  এখন  কি  করবো?

চেয়ারম্যান   বল্লেন  আপনি  UNO-এর  সংঙ্গে   দেখা  করেন ।  আমি  UNO- এর  কাছে  গেলাম ।   UNO  বল্লেন  আপনি  UNO- বরাবর  দরখাস্ত  করেন ,   আমি  বল্লাম  আপনাকে  কিছুদিন  আগে  যে  দরখাস্তটি  দিয়েছিলাম  তার  তো  কোনো  ফলাফল  আমাকে  দেননি  তাহলে  সেইটেই  সো  করেন ।  UNO  বল্লেন   আপনি  আবারও  আমার  বরাবর  দরখাস্ত  করেন ।   আমি  বল্লাম  আমার  কাছে  দরখাস্ত  লিখার  মতো  টাকা  নেই  ।   UNO  বল্লেন  তাহলে  আপনি  এখন  যান ।

 

এভাবেই কি আমাদের মেধাবী তরুনরা ধুঁকে ধুঁকে মারা যাবে?

Prof Chandan Sarkar

Disclaimer: The facts and opinions expressed within this article are the personal opinions of the author. www.HinduAbhiyan.com does not assume any responsibility or liability for the accuracy, completeness, suitability, or validity of any information in this article. Subjected to Delhi Jurisdiction only.

Share

Compare