এই রক্ত গঁঙ্গার শেষ কোথায় …………
মা মেয়েদের পাশাপাশি ধর্ষণ ছেলেকে খুন (১)
গ্রামঃ করমপুর
ইউনিয়নঃ জাতাপুর
বাগেরহাট সদর উপজেলা
বাগেরহাট ।
তারিখ ০৮।০৩।২০০৩ বিএনপির দলীয় ক্যাডার কামরুলের নেতৃ্তে ১০-১২ জন লোক প্রবেশ করল নিরঞ্জনদের বাড়ি ।বান্নার ঘর দিয়ে ঘাতকরা প্রবেশ করল। অনিমা(নিরঞ্জনের ভাইয়ের বউ) রাতে সবাইকে খেতে দিয়েছে, খাওয়া দাওয়া শেষ করে- সবাই যার যার মতো করে ঘুমিয়ে পড়েছে। সবামী তপন ঘুমিয়ে পড়েছে আগে, অনিমার ঘুম আসছিল না, মনে মনে ভাবছিল সকালের জন্য কিছু কাজ গুছিয়ে রাখলে ভালোই হয়।
রাএি তখন ১২।৩০ টা কি একটা -হটাৎ শুনতে পেলেন বান্না ঘরে, ঘাতকদে্র পদধবনি, পষ্ট থেকে পষ্ট হচ্ছে । ঘুমন্ত সবামীকে ডাক দিলেন।সবামী তপন দড়জা খুলে রান্না ঘরের কাছে যেতেই, ঘাতকদের চাপাতির কোপ- এলো পাথারি কয়েক কোপেই তপনের দেহটি কাপতে কাপতে নিথর হয়ে গেল।
তপনের ভাই সপন পাশের ঘর থেকে শব্দ শুনে বেরুতেই ঘাতকদের চাপাতির কোপ, জখম, কিন্তু দৌড় দেওয়াতে প্রাণে রক্ষা। তপনের স্ত্রী-অনিমা, সপনের স্ত্রী শ্যামলী, মা নমিতাকে – কান্নার সুযোগটুকু না দিয়ে ঘাতকদের দলনেতা কামরুল সহ সবাই, তিন মহিলাকে পাজা কোলে করে নিয়ে এলো পাশের ঘরে, চললো ঘাতকদের নির্মম পাশবিক অত্যাচার, এক জনের পর এক জন পালাক্রমে। বাইরে সবামী, ছেলের লাশ, ছেলের রক্তে ভেসে যাচ্ছে বাড়ির উঠান, বুক ভরা দম বন্ধ করা কান্না আর শরীরের উপর চলছে ঘাতকদের অমানুষিক পাশবিক নির্জাতন।
অপরাধ- তপনের ভাই নিরঞ্জন- আওয়ামীলীগে্র হয়ে ভোটের জন্য কাজ করেছিল। তার ভাগ্য ভালো সে তার স্ত্রীকে নিয়ে শশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল- তাই প্রাণে রক্ষা। পরে মামলা হয়েছিল- বিচার !!!!!! সেটা আবার কি? হিন্দুদের উপর অত্যাচার এবং তার বিচারের নজির, আছে নাকি???
এই রক্ত গঁঙ্গার শেষ কোথায় -০২
সুরোধনী বালা দাস
স্বামী বজ্রবাসী দাস
গ্রাম-চর অন্নদা প্রসাদ
লালমোহন, ভোলা
সুরোধনী বালা দাস, নতুন বিয়ে হয়েছে ভোটারও হেয়েছেন নতুন। ২০০১ সাল ভোট দেওয়ার জন্য স্বামী ব্রজবাসী দাসের সাথে ভোট দিয়ে আসলো । রেজাল্ট বের হতে হতেই হিন্দু পাড়ায় লোকজনের আনাগোনা অনেকেই বলতে লাগলেন, তোদের আজ দেখে নেওয়া হবে। সুরোধনী চাপা গলায় জিজ্ঞাসা করে, দেখা নেওয়া কেন? কোন পার্টি জিতলেও আমাদের কি আর হারলেও আমাদের কি, আমরা ছাপোশা মানুষ-সব সময় ছাপোশাই।
রাত বাড়ার সাথেই সাথেই এক অজানা ভয় গ্রাস করতে থাকে, রাত ১।৩০ একই গ্রামের- সাইফুল, মোতাহার,শাহীন বাড়ির উঠানে- বজ্রবাসীকে ঘুম থেকে ডেকে তুললেন, জোর করে বজ্রবাসীকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে, হাত মুখ বেধে বাড়ান্দায় ফেলে রাখলেন। ঘরে নতুন বিবাহিত স্ত্রী সুরোধনীকে-মোতাহারের হুংকার, চিৎকার করলে স্বামী সহ–সবাইকে প্রাণে মেরে ফেলবো। বাকীটা আর নাইবা বললাম—-। দুচোখের জল, রক্তের ধারাকে-নদীর মতো আরও বেগবান করে তুলেছিল। বিচার ????? তবে, সুরোধনীরা নিজেদের জীবন বাঁচাতে ইন্ড্রিয়াতে পলায়ন করেছে।