পুজিঁবাদের যাঁতাকলে হারাচ্ছি গ্রামবাংলা ও মানবিকতাকে !
চন্দন সরকার
এইতো সেদিনের কথা- সবাই স্বীকার করবেন, আমাদের গ্রাম বাংলার কোমল রুপের মায়াবী চেহারাকে। সবুজ, শ্যামল, মনোরম, পাখীদের কল কাকলিতে মুখরিত শ্যামলী মায়ের ছায়ায় ঢাকা আমাদের গ্রাম ।নদীর জল কুলকুল করে বয়ে যেত , জেলেরা মাছ ধরত, কৃষকেরা ভোর বেলায় গরু নিয়ে যেত মাঠে। নির্মল বাতাস বইত, বুক ভরে শ্বাস নিত কান্ত পথিক । সন্ধ্যায় সুর্য যখন পশ্চিম আকাশে অস্ত যেত, পাখিরা কান্ত হয়ে তাদের ঘরে ফিরে যেত- সে এক অপুর্ব দৃশ্য- অসম্ভব ভালোলাগার আবেশ ছড়িয়ে নেমে আসতো নিঁঝুম অন্ধকার । ঝিঁ ঝিঁ পোঁকা ডাকত কোন এক নাম না জানা ফুল গাছের ঝোঁপ থেকে- জোঁনাকীর মিটি মিটি আলো জলত- বাড়ির উঠানের স্বর্নলতা গাছগূলোকে ঘিরে। শীতের সকালে শিশির ভেজা দূর্বা ঘাসে পা ভেজাতাম- দিনের বেলায়, নিজের আনন্দে ঘুরে বেড়ানো, ঘুড়ি উড়ানো, গোল্লাছুট, কাঁনামাছি, দ্বাড়িয়া বান্ধা আরও কত কি- সে এক অনাবিল আনন্দ।